চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করলো দাবদাহ। চুয়াডাঙায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঠেকে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্তত ২৫ জেলায় ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। তাপপ্রবাহের কারণে দফায় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। বন্ধ রাখা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারাবিশ্বে বায়ুদূষণ, রাসায়নিকের বিষাক্ততা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানির সংকটে ধুঁকছে বিভিন্ন দেশের শিশুরা। সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাকা শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অনেক বেশি।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ের আগে শিশু জন্মের হার ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে অপরিণত শিশু জন্মের হার ১৬.২ শতাংশ।
ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এদেশের ৯৯ শতাংশ শিশু। যেখানে ২০২০ সালে ঝুঁকির মুখে ছিল ২৬ লাখ শিশু। ইউনিসেফ বলছে, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা মোকাবিলা করছে ২ কোটি শিশু।
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তাই ইউনিসেফের সহযোগিতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মূলত সাধারণ মানুষের মধ্যে দাবদাহ নিয়ে সচেতনতা তৈরিই যৌথ পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। দেশের সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে দাবদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর নানা পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করবে গণমাধ্যম, বিভিন্ন সংস্থা।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'প্রতিটি শিশুর সুস্থ পরিবেশে বাঁচার অধিকার আছে। এরইমধ্যে তাপপ্রবাহে কী করতে হবে তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।'