পুরো এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহে পুড়ে জনজীবন ছিল অতিষ্ঠ। রোববার ( ৫ মে) রাতে বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি নিয়ে আসে স্বস্তি। বহুল কাঙ্ক্ষিত এই বৃষ্টিতে শহর জুড়ে নেমে আসে প্রশান্তির ছায়া।
সোমবার ( ৬ মে) সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা। রাতে বৃষ্টির পর যেন আরও সবুজ ও সতেজ হয়ে উঠেছে গাছের পাতা।
এমন আবহাওয়া উপভোগে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে বারিক-আশা দম্পতি। এতোদিন তীব্র গরমে বাইরে বের হওয়াই ছিল দায়। তাপমাত্রা কমায় যেন মিলেছে মুক্তির স্বাদ।
এদিকে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষও ফেলেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতেও কমেছে ভোগান্তি।
রিকশা চালক একজন বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকে আজকে অনেক ঠান্ডা এবং বাতাস বইছে তেমন রোদও নেই।'
আবহাওয়া অধিদপ্তরও দিচ্ছে সুখবর। জানানো হয়েছে, ১১ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি অব্যহত থাকবে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে হতে পারে দমকা হাওয়া সহ ঝড়বৃষ্টির। এতে আপাতত থাকবে না তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান বলেন, '১১ বা ১২ তারিখ পর্যন্ত বিছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে। সেই সাথে ব্রজসহ দমকা হাওয়া বইয়ে চলবে। আবার কখনো কখনো শিলাবৃষ্টি হবে। আশংকার কথা হচ্ছে ব্রজ বৃষ্টি হবে এই সময় যতখন আকাশে ব্রজ মেঘ থাকবে ততখন পর্যন্ত মানুষ নিরাপদ স্থানে থাকে।'
এদিকে ১৫ তারিখের পর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের।