আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারাদেশেই আজ বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে গতকাল রোববার (৫ মে) ঢাকাতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়।
তীব্র দাবদাহের পর রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ চমকাতেও দেখা যায়। এরপরই রাত সোয়া ১০টা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে নগরীর মানুষের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আজ সোমবার (৬ মে) থেকে সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরই তাপপ্রবাহ কমতে শুরু করবে। কিন্তু তার আগেই রোববার রাত থেকে রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টিতে নগরীর বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
এদিকে দেশে গত ১ এপ্রিল থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ রয়েছে। এ অবস্থা চলতি মাসজুড়েও অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে। এরই মধ্যে এবার দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। তবে এই সময় আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।