তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। টানা ২৭ দিনের দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সারাদেশের মানুষ। এ অবস্থায় স্বস্তির খবর মিলছে না আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও।
আবহাওয়া বার্তায় আজ দুপুর ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় মেহেরপুরে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।
গতকালও এই দুই জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যশোরে রেকর্ড করা হয় ৪১.৪ ডিগ্রি আর শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী মাস শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি কবলিত এলাকার প্রভাব ওই অঞ্চল ব্যতীত অন্য কোথাও পড়বে না।
তবে আশার খবর, পরের মাসের শুরুতে অর্থাৎ ২ মে’র পর থেকে সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়সহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর সিলেট দমকা হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মূলত সিলেটের পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম রেখা দিয়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হয়েছে।