তাপামাত্রা উঠতে উঠতে যখন ৩৯ ডিগ্রিতে পুড়ছিল ইট-পাথর আর ইস্পাতের এ শহর, তখনই হঠাৎ বৃষ্টি!
ব্যাপ্তি ছিল কয়েক মিনিটের, তবে ভিজেছে পুরো শহর। আবহাওয়া অফিস বলছে, পরিমাপে এটি ৮ মিলিমিটার। কিন্তু এতে সবচেয়ে খুশি হয়েছে নগরীর খেটে খাওয়া মানুষ। গাছগুলো হয়েছে আরও সবুজ। সবমিলিয়ে যেন স্বস্তির বৃষ্টি।
এক দিনমজুর বলেন, ‘সকাল থেকে প্রচুর গরম ছিল। হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হইছে। আমরা এখন একটু আরামে কাজ করতে পারবো।’
কিন্তু নাগরিকদের চাওয়া ছিল আরেকটু বেশি। স্থানীয় একজন বলেন, ‘কয়দিন ধরে যে গরম আর রোদ হচ্ছে। এই গরমে মারা যাওয়ার অবস্থা হয়। এই বৃষ্টিতে গরম কমলেও আরও বৃষ্টি হওয়া দরকার ছিল।’
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা। এ মাসে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই, সঙ্গে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ মাসে ৩৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। রংপুর ছাড়া বাকি ৭টি বিভাগে হিট ওয়েভ চলছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।’