রোববার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়ে গেছে।
তবে ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈখাশী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে হেলেনা বেগম ও মিনারা বেগম নামে দুই নারী এবং মাহিয়া আকতার ঈশানা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে খুলনার ডুমুরিয়ায় ওবায়দুল্লাহ নামে একজন এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর হাওরে শহীদ মিয়া (৫২) নামে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন।
কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের চাল ঠিক করতে গিয়ে গাছের চাপায় পিরোজপুর সদর উপজেলার মরিচাল গ্রামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ শতাধিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৬৫ ফুটের ছোট সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল এবং নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্র-বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্র-বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গতকাল (শনিবার, ৬ এপ্রিল) গরম বেড়ে দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করে। এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ঢাকাসহ নতুন নতুন এলাকায় বিস্তার লাভ করে।