সকাল থেকেই খাঁ খাঁ রোদে পুড়ছে শহর-জনপদ। শেষদিকে চৈত্র তার রুদ্র মূর্তি নিয়ে হাজির হয়েছে। অসহনীয় তাপ আগুনের উল্কা হয়ে বিঁধছে শরীরে। জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা।
ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দক্ষিণের জেলা বরিশালের জনজীবন। পহেলা এপ্রিল বছরের সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এখানে। যা মৃদু তাপপ্রবাহ। আর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রেকর্ড করা হয় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। যদিও এ মুহূর্তে সুখকর কোনো খবর দিচ্ছে না আবহাওয়া অফিস। আগামী ৩ দিন বিরাজ করতে পারে এমন আবহাওয়া। এমনকি বাড়তে পারে তাপমাত্রাও।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, 'এপ্রিল থেকে তাপদাহ শুরু হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের অবস্থা অনুযায়ী গরম অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে লঘুচাপ বিরাজমান থাকায় জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। তাই তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে।'
রাজশাহীজুড়ে এখন সূর্যের প্রখরতা। সকাল হতেই তেঁতে উঠছে পথঘাট। প্রখর তাপ আর ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত নগরজীবন। অপেক্ষা এক পশলা বৃষ্টির। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে কাজ সারছেন। সূর্য ডোবার পরেও শীতল হচ্ছে না চারপাশ।
প্রখর রোদেও থেমে নেই শ্রমজীবীরা। ছবি: এখন টিভি
গত ১ এপ্রিল থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টানা তিন দিন এ জেলায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগের ইনচার্জ ড. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, 'পানিজাতীয় খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে। গরমের সময় পানি শূন্যতা থেকে হিট স্ট্রোকের পরিমাণ বেশি হয়।'
খুলনায় সকাল থেকেই অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। প্রখর রোদে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও শরবতের। সেই সঙ্গে জেলায় বেড়েছে লোডশেডিং। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আরও বাড়বে বলছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঈদের আগে গরম বাড়ার সাথে সাথে নোয়াখালীতে বেড়েছে লোডশেডিং। এমন অবস্থায় জেনারেটর ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।