ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন-এর সভাপতিত্বে এ সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। এ সময় তিনি বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবনার এবং দিকনির্দেশনার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে এ পরিকল্পনায়। আর সেজন্য মুজিববর্ষে এ পরিকল্পনা প্রণয়নকালে এর নামকরণ করা হয়েছে 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা'।
সেমিনারের সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার জলবায়ু পবির্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। তিনি আরও বলেন, 'অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার তার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী এক রোল মডেল এ পরিণত হয়েছে।'
স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্নতা অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতে এ পথ নির্দেশিকা। সেমিনারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, এসডিজি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনায় জলবায়ু ইস্যুটি অগ্রাধিকারে রাখা গেলেই মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
সেমিনারে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম এর নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, 'এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে গণমাধ্যমকর্মীরা জনসচেতনতা তৈরিতে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন।'
সেমিনারে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমকর্মীসহ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিউটের বিভিন্ন পার্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।