একইস্থানে অবতরণের সময় রাশিয়ার মহাকাশযান ধ্বংস হয়। ২০২৬ সালে নভোচারীদের চাঁদে পাঠাতে 'আর্টেমিস ৩' মিশনের জন্য এই স্থানই নির্বাচন করে রেখেছে নাসা।
কিন্তু নতুন গবেষণা আশাহত করছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। নাসার গবেষণা বলছে, চাঁদের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা কমে সংকুচিত হয়ে আসছে, চাঁদের উপরিভাগে ভাঁজ পড়ছে, যা তৈরি করছে ভূমিকম্প। চাঁদে স্থায়ী হচ্ছে এই ভূমিকম্প। পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহের দক্ষিণ অংশ ব্যাপক ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে মানুষ বা মহাকাশযানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গেলো কয়েক লাখ বছরে চাঁদ দেড়শ' ফুট সংকুচিত হয়ে গেছে। ভৌগলিকভাবে এই সংখ্যা অনেক বড় হলেও পৃথিবীর জোয়ার ভাটায় এখনও দৃশ্যমান কোনো প্রভাব পড়েনি এই পরিবর্তনের। চাঁদের বহির্ভাগ ভঙ্গুর হওয়ায় কোথাও কোথাও ভাঙন দেখা যাচ্ছে। ভৌগলিকভাবে মৃত হলেও চাঁদে দেখা গেছে ভূমিধস।
সম্প্রতি প্রকাশিত নাসার গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ বছর আগে অ্যাপোলো অভিযানের নভোচারিরা যে যন্ত্রাংশ রেখে এসেছিলেন, সেখানকার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চাঁদের দক্ষিণ অংশের কাছাকাছি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেলেও উৎপত্তিস্থল পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। পৃথিবীতে যেই মাত্রাকে মাঝারি আকারের ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ কম থাকায় ভূমিকম্পের মাত্রা অনুভূত হয় বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণের কারণে ভূ-পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকা যায়। চাঁদে অল্প কম্পনেই পা উপরে উঠে যাবে।
এই ভূমিকম্পই ভবিষ্যতে মানুষের জন্য চাঁদে অবতরণ কঠিন করে তুলবে। ভূমিকম্প সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রয়োজন হবে চাঁদে নভোযানে মানুষ পাঠানোর আগে। চাঁদে ভূমিকম্প অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে নির্ধারিত সময়ের জন্য চাঁদে গবেষণা করতে পারবেন নভোচারিরা। তারা চাঁদে থাকা অবস্থায় বড় ভূমিকম্প হলেই ঘটবে বিপত্তি।
তবে চাঁদে ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা চাঁদের অজানা অনেক তথ্য তুলে আনবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।