জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জন্য অস্তিত্বের সংকট বলে জানিয়েছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে পানি, লবনাক্ততা, জলবায়ু ও নদীকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীতে দুই দিনের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
যুদ্ধের মাধ্যমেও এখন বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ৬০ দিনে ২ লাখ ৮১ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ হয়েছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কিন সেনাবাহিনী ২০২২ সালে ৪৮ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ করে।
উন্নত দেশগুলোর ভয়াবহ এই তৎপরতার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশসহ জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ওপর। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত নবম পানি সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে আসে।
পানি সম্মেলনে আন্তজাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণে প্রান্তিক ৫৫টি দেশের জন্য দরকার ৫২৫ বিলিয়ন ডলার। অথচ মাত্র ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পাওয়া গেছে।'
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এখন রাজনৈতিক সমস্যা। যা সমাধান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে কাজ করছে তার সরকার।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন একটি সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশ তার অন্যতম ভুক্তভোগী। টেকসই উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর পাশাপাশি সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে পানি, নদী, পরিবেশ ও প্রতিবেশকে।'
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা যেন উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পান সেটি নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী ও সম্মেলনের বক্তারা। দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি)।