তিনি বলেন, 'আজ নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় প্রত্যক্ষ করেছে সারাবিশ্ব ও দেশবাসী। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। ভোট প্রদানে ভোটাররা কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন হয়নি। এ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে। অনেক বাধা বিপত্তি ছিল, তবে দেশের মানুষ ভোটে অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। নৌকা বিজয়ী হবে আশা করি।'
নির্বাচনে বিএনপির না অংশগ্রহণ করার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি জামায়াত ও তাদের দোসররা নির্বাচন প্রতিহত করতে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। যে নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছে, সে নির্বাচনে ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে। বিএনপির রাজনীতি হলো মানুষ খুনের রাজনীতি। বিএনপি অপরাজনীতির কুচক্রে আটকে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছে নির্বাচন কমিশন। আন্তর্জাতিক বন্ধু ও দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল বিএনপি।'
স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় বলেও জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'সরকারপ্রধান প্রমান করেছেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়। সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। অতীতের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে সহিংসতা খুবই কম।'
আওয়ামী লীগ সভাপতি কোন প্রকার বিজয় মিছিল না করা ও অন্তঃকলহে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।