জকসু! রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে থেকেও আবাসন সুবিধাহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের বহুল আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন।
জুলাই-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে জকসুর দাবিতে বারংবার সোচ্চার ছিলেন শিক্ষার্থীরা। অবশেষে ৩০ তারিখে অপেক্ষার অবসান। ভোটের আগমুহূর্তে ক্যাম্পাসজুড়ে উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা।
শিক্ষার্থীরা জানান, এত বছর পর জকসু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চান নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে চান তারা। জকসুর মাধ্যমে এত বছর ধরে চলে আসা আবাসন সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা শিক্ষার্থীদের।
শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, দাবি আদায়ের এই যাত্রায় নেতৃত্ব দিতে মুখিয়ে রয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলোও।
আরও পড়ুন:
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই এনজয় করছে। প্রার্থীরা সবার কাছে যাচ্ছে, ভোট চাচ্ছে। সবাই সবাইকে সাদরে গ্রহণ করছে, কথা বলছে। খুবই ফেস্টিব মুডে আছে। ক্যাম্পাসের জন্য সুন্দর একটা আবহ বিরাজ করছে।’
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী একেএম রাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবাই এনজয় করছে। আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এটা পূর্ণতা পাবে।’
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছেন একাধিক পক্ষ। বড় রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক ঘণ্টায় যেরকম কালো টাকার ছড়াছড়ি তা উৎসবের আমেজটাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছে।
সব অভিযোগ ও শঙ্কার মধ্যেও ইতিবাচক ভাবনায় বিশ্বাস রাখার আহ্বান নির্বাচন কমিশনারের। জানালেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন।
জকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের জন্য ৩৮টি এবং ১টি হল সংসদের জন্য। মোট ৩৯টি কেন্দ্র আছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে প্রথম থেকেই টুকটাক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। আমরা অনেকগুলো খতিয়ে দেখেছি, কথা বলেছি তাদের সঙ্গে। শেষ মুহূর্তে এসেও দুয়েকটা অভিযোগ আসছে। আমি সকলকে এটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার অনুরোধ করবো।’





