সকাল ১০টায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহিন। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তিতুমীর কলেজ ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. টি. এম. যায়েদ হোসেন।
যায়েদ হোসেন বলেন, ‘তিতুমীরকে সাধারণত কৃষক বিদ্রোহের নেতা হিসেবে পরিচিত করা হয়, কিন্তু তার ভূমিকার বিস্তৃতি আরও বড়। তিনি ছিলেন হাফেজে কোরআন, ইসলামী শিক্ষার গভীর অনুসারী এবং একইসঙ্গে লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দক্ষ সংগঠক। তার বংশ নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভুল, তিনি মীর নন, বরং তার পরিবার দাবি করে তারা সাঈদ বংশের।’
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউনাইটেড নেশনসের সিভিল সোসাইটি রিপ্রেজেন্টেটিভ আবুল কাশেম শেখ।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘শহিদ তিতুমীর ছিলেন বাংলার অন্যতম শক্তিশালী বিদ্রোহী নেতা। তার তলোয়ার ছিল জনগণের অধিকার, তার উদ্দেশ্য ছিল অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।’
ঢাকা-১৭ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. এস. এম. খালিদুজ্জামান তার বক্তব্যে তিতুমীরের অবদানকে ‘ভারতবর্ষের কৃষক অধিকারের প্রথম মহান আন্দোলন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— তিতুমীর কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এম. এম. আতিকুজ্জামান, সতিকসাসের শিক্ষক উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস মল্লিক, সতিকসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও এশিয়ান টিভির প্ল্যানিং এডিটর রফিকুল ইসলাম রলিসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।





