চাকসু নির্বাচন: অনলাইন প্রচারণায় ব্যক্তি আক্রমণ বরদাশত করবে না নির্বাচন কমিশন

চাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ভিপি, জিএস এবং এজিএস
চাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ভিপি, জিএস এবং এজিএস | ছবি: এখন টিভি
0

চাকসু নির্বাচন ঘিরে অনলাইনে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা তো বটেই ভোটাররাও করছেন যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের আলোচনা-সমালোচনা। পক্ষে-বিপক্ষের এসব আলোচনায় কখনো কখনো দেখা দিচ্ছে তিক্ততাও। নির্বাচন ছাপিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ কিংবা অবমাননাকর হিংসাত্মক আক্রমণও চলছে অনলাইনে। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনোভাবেই এসব বরদাশত করা হবে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন যে কোনো নির্বাচনের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। প্রচারণা, জনসমর্থন তৈরি, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা ব্যক্তিগত আক্রমণ সবই চলছে এখানে।

এমন বাস্তবতায় চাকসু নির্বাচনেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার হাওয়া। প্রার্থীর ছবি, প্যানেলের ফটোকার্ড ও ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে সরব উপস্থিতি এখানে। কন্টেন্ট তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সশরীরে প্রচারণা তো চলছেই।

প্রার্থীরা জানান, নির্বাচিত হলে আমরা কি কি করবেন সেগুলো অনলাইনে প্রচার করছেন তারা।

আরও পড়ুন:

ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মত প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার হয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে। এরইমধ্যে ২৩১ টি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করেছে তথ্য যাচাইয়ের প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭৬টি বিজ্ঞাপন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে আর ৪৯টি স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের পক্ষে প্রচারিত হয়েছে ১৪টি বিজ্ঞাপন।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণ, নারীর প্রতি বিদ্রূপ মন্তব্যসহ নানা কর্মকাণ্ডও চোখে পড়ছে। এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে।

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুনির উদ্দীন বলেন, ‘আচরণবিধি প্রতিপালন টিম আছে। সেখানে আমরা সব ধরনের মানুষকেই আমরা যুক্ত করেছি। সে জায়গা থেকে আশা করি তাদের থেকে একটা সদুত্তোর আমরা পাবো।’

প্রার্থীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অনলাইনে যেন হুমকিতে না পরে সেদিকে লক্ষ্য রাখার দাবিও রয়েছে। আগামী চাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী।

ইএ