১৪ সেপ্টেম্বরের পর টানা এক সপ্তাহ রাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের সকল প্রান্তে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা বৈচিত্র্যময়।
তবে গেলো ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার দাবি প্রশাসন মেনে নিলে ক্ষুব্ধ হয় শিক্ষার্থীরা।
২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের দাবি পোষ্য কোটার পুনর্বহাল নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করলে, আন্দোলন বেগবান করে শিক্ষকরা, দেন কমপ্লিট শাটডাউন। সোমবার শিক্ষকরা জানান দোষী শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।
রাকসু নির্বাচনের দুদিন আগে শিক্ষক কর্মকর্তাদের এমন আন্দোলনে ক্যাম্পাসে কমে শিক্ষার্থী উপস্থিতি, প্রচারণা বন্ধ করে প্রার্থীরা, এতে রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারি চার প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তারা পরিবেশ নিশ্চিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে কমিশনকে লিখিত জানান।
এছাড়া, সংবাদ কর্মীদের ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর জানান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকায়, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য, দূর্গাপুজার পর নির্বাচন চান তারা। আর ২৫ তারিখেই নির্বাচনের দাবি করে শিবির।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন বিকেলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথ বলেন। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তা না জানালে ক্ষুব্ধ হয় প্রার্থীরা।
পরে দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, শিক্ষকদের কর্মসূচি আর নির্বাচন সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী না পাওয়ায় এই নির্বাচনের তারিক পেছানো হলো।
এতে তাৎক্ষণিক ভাবে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ছাত্রদল, বাম ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার আকাঙ্ক্ষা থেকেই গেলো শিক্ষার্থীদের।





