সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু- দুটি নির্বাচনেই ভরাডুবি হয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া এ সংগঠনটির নেতাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কেন এমন ভরাডুবি? সে প্রশ্ন এখন আলোচনায়।
চাকসু নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সাবেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিও অংশ নিচ্ছেন না নির্বাচনে। ফেসবুকে, নিজেকে জুনিয়র ছাত্র দাবি করে, অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
তবে সংগঠনের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের সংগঠক এম রাশিদুল হক দিনারকে বহিষ্কার করা হয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। তার দাবি, চবিতে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনায় কিছু নেতার সমালোচনাই কাল হয়েছে। লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত তার।
বাগছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সংগঠক আর এম রাশিদুল হক দিনার বলেন, ‘আমি মনে করছি কোনো মাদার সংগঠন থাকলে তাদের কিছু পারপাস আমার এখানে সার্ভ করতে হতে পারে। অথবা ছাত্রবান্ধব কাজ করতে গিয়ে আমি কোথাও হয়তো বাধার সম্মুখীন হতে পারি। আমি ওই জায়গা থেকে ফ্রি হয়ে আসতেই মূলত স্বতন্ত্রভাবে আগাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
দলের কোন্দল আরও স্পষ্ট হয় বহিষ্কৃত এ নেতার সঙ্গে বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানসহ আরও কিছু নেতাকর্মীর প্যানেল ঘোষণায়। এ প্যানেলে জুলাই অভ্যুত্থানে অবদান আছে যাদের তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যদের যুক্ত করার কথা জানানো হয়।
বাগছাস কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘শুরু তেকেই এ জায়গাটা ছিল যে আমরা এমন একটা ইনক্লুসিভ প্যানেল করবো যেখানে সকল দল মত আর সবার অংশগ্রহণ থাকবে। সে জায়গা থেকে আমরা মূলত বাগছাস থেকে বেরিয়ে এ প্যানেলটা করার চেষ্টা করেছি।’
তবে দলে কোনো কোন্দল নেই দাবি করে বাগছাস নেতাদের দাবি, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণেই তারা নির্বাচনে প্যানেল দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুন:
বাগছাস চবি শাখার সদস্য সচিব আল মাসনুন বলেন, ‘আমাদের দলীয় কোনো কোন্দলই নেই। একদমই দল থেকে যে বক্তব্য আসবে সেটা আমরা দিয়ে দিয়েছি যে, আমরা প্যানেল দিচ্ছি না। এটা আমাদের সেন্ট্রাল কমিটির নির্দেশনা। আমরা এ জায়গা থেকে এর বাইরে যা করা যায়, গণতান্ত্রিক একটা লড়াই হচ্ছে এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। খানে যুক্ত হওয়ার জন্য যা করা যায় আমরা তা করছি।’
ডাকসু, জাকসুতে হারের পর চাকসুতে স্বতন্ত্র প্যানেলে অংশ নেয়া বাগছাসের সাবেক ও বর্তমান নেতারা শিক্ষার্থীদের মন জয় করা চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।




