রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে বেগমগঞ্জের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে একই শ্রেণির আরও তিন ছাত্রী প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে ৪ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসা দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপর শিক্ষার্থীদের বেশি করে পানি পান করতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১১জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইমরান হোসেন। তাদেরকে বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসময় অন্য সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টির যেসব কক্ষে পাঠদান চলে সেগুলো টিনশেডের। যার ফলে ওই কক্ষগুলোতে পাঠদানের সময় প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা হাঁসফাঁস করে। তার মধ্যে লোডশেডিং তো আছেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা ইসরাত ডলি বলেন, 'পাঠদান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর ষষ্ঠ শ্রেণির একে একে ১১ জন শিক্ষার্থীর মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথা দেখা দেয়। গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বুঝতে পেরে দ্রুত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আমাদের একজন সহকারি শিক্ষকও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবাইকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের কাজ চলমান থাকায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের টিনশেডের কক্ষে পাঠদান নিতে হচ্ছে। এরমধ্যে গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।'