কমলো এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫

0

চলতি বছর এইচএসসি পরিক্ষায় ১১টি বোর্ডেই বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, পদার্থ, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞান ও পৌরনীতি বিষয়ে অকৃতকার্যের হার বেশি। সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি ইংরেজি বিষয়ে। যার প্রভাব পড়েছে পুরো ফলাফলে।

করোনা মহামারি ও ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাদান ও ফলাফলে। এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটোই নিম্নমুখী। বাংলা, আইসিটি, পদার্থ, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞান, পৌরনীতিতে অকৃতকার্যের হার বেশি- আর শুধু ইংরেজিতেই অকৃতকার্য প্রায় ১৫ শতাংশ।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পূর্ণমান ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা নেয়ায় কমেছে পাসের হার। তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য ২৪ মাসের জায়গায় পেয়েছে মাত্র ১৬ মাস- যার প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।

২০২০ সালে করোনা মহামারির পর থেকে এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে ২০২১ ও ২২ সালে নম্বর ও সময় কমিয়ে নেয়া হয় পরীক্ষা। তবে এবার সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। শুধু ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা নেয়া হয় আইসিটি বিষয়ে।

গত ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১ শিক্ষাবোর্ডে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ পরীক্ষার্থী। আর ভয়াবহ জলাবদ্ধতাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন পরে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হয়।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রকাশ হয় ফলাফল । এবার মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন। যা গত বছরের পাসের হার ৮৫.৯৫ থেকে ৭ দশমিক ৩১ কমে হয়েছে ৭৮.৬৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ সংখ্যাও প্রায় অর্ধেক কমে হয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটোই কমার কারণ পূর্ণমান এবং পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা।

চলতি বছর ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীরা যেমন পাসের হারে এগিয়ে, তেমনি জিপিএ ৫ পাওয়াতেও এগিয়ে ছাত্রীরাই। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৩.৮১ শতাংশ বেশি এবং ৬ হাজার ১৩৫ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে।

বোর্ডগুলোর বিষয়ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেয়া যায়, চলতি বছর ১১টি বোর্ডেই বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি, পদার্থ, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞান ও পৌরনীতি বিষয়ে অকৃতকার্যের হার বেশি। সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি ইংরেজি বিষয়ে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে সময় পেয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। করোনায় শিক্ষার ঘাটতি পূরণে যে পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে তা যথাযথভাবে হচ্ছে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

কোনো শিক্ষার্থী ফলাফলে অসন্তুষ্ট হলে ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে।

আরও পড়ুন: