আগে যেখানে ১০০ টাকার বিপরীতে মিলতো ভারতীয় ৮১ রুপি। সেখানে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৬৯ রুপি।
বাংলাদেশ ও ভারতের স্থলবাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর। শুধু বাণিজ্য নয়, দু'দেশের মানুষ পারাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর। প্রতিবছর এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করছেন গড়ে ২২ লাখেরও বেশি যাত্রী।
সম্প্রতি সীমান্তে পারাপারে জটিলতা ও বাংলাদেশি টাকার মান কমে যাওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, ব্যাংক রেট মানছেন না প্রতিবেশি দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো।
একজন যাত্রী বলেন, 'এখানে মুদ্রা বিনিময়টা অনেক কম। ১ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬৭০ টাকা বলছে আমাকে। বাংলাদেশি টাকায় এখানে কেনাকাটা অনেক সমস্যা হয়। মান কম দেখে টাকা বিনিময় না করে আমরা খুব ঝামেলায় পড়ছি।'
তবে এ বিষয়ে পেট্রোপোল বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সমস্যার কারণ হচ্ছে ডলারের সাথে টাকার পার্থক্য বেশি। যার ফলে ভারত থেকে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটকসহ চিকিৎসা সেবাগ্রহীতারা।
পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তর ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, 'মানি চেঞ্জাররা জোর করে কম দামে বেশি লাভ করা ছাড়া তাদের উপায় নেই। কারণ তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তবে সবিকছু নির্ভর করবে ঐ দিনের ডলারের কেনাবেচা, দামের উপরে।'
প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতে পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করেন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ।