করোনা মহামারি শুরুর পর স্ব-শরীরে কার্যক্রম সীমিত রাখায় ৬০ দিন বন্ধ রাখতে হয় দেশের পুঁজিবাজার। পরে কাগজের নথি আদান-প্রদানের অনেক শর্ত শিথিল করে চালু করা হয় লেনদেন।
পরে পুরোপুরি লেনদেন শুরু হলেও রয়ে যায় নানা রকম সমস্যা। কখনও শেয়ারবাজার চলাকালে তথ্য প্রকাশে দেরি, আবার ভুল খবর দেয়ায় ক্ষতি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া, অনেক তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে কাগজে তথ্য দেয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনিয়ম করার অভিযোগ আছে।
এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ও স্মার্ট অর্থনীতির অংশ হিসেবে পেপারলেস পুঁজিবাজার করার কাজ শুরু করেছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। সেই ধারাবাহিকতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তথ্য অনলাইনে জমা দিতে স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালু করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এর ফলে এখন আর কাগজ, ফ্যাক্স কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য দিতে হবে না।
তবে সিস্টেমে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার জোর দাবি জানিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন।
এদিকে, ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, তথ্য শুধু সংগ্রহ নয় নজর দিতে হবে যথাযথ ব্যবহারের দিকে।
তিনি আরও বলেন, 'তাদের তথ্যগুলোকে যদি আমরা সঠিকভাবে, স্মার্টলি নিতে না পারি, তথ্যের মধ্যে সঠিকতা না থাকলে ক্যাপিটাল মার্কেট ভ্রান্ত পরিবেশে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম চালুর ফলে কোনো তথ্য বাদ বা ভুল গেলে এর দায়ভার কোম্পানিগুলেকেই নিতে হবে।





