দেড় বছর পর ৩৫ টি কোম্পানি ছাড়া সব শেয়ারের মূল্যস্তর তুলে দিয়েছে বিএসইসি। এমন সিদ্ধান্তের পর প্রথম দিনের লেনদেন সূচকের বড় ধরণের দরপতন দিয়ে শুরু হয়। প্রথম ২০ মিনিটেই ২১৫ পয়েন্ট পড়ে যায় সূচক।
এমন পরিস্থিতি কিছুটা ভাবিয়ে তোলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগকারীরা জানান, ভিত্তিহীনভাবে ফ্লোরপ্রাইস উঠিয়ে দেয়া হলো। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
লেনদেনের সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘদিনের জট ভেঙে হারানো পয়েন্ট যোগ হতে থাকে সূচকে। দিন শেষে ৯৬.৫০ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
১৬ কোটি ২৭ লাখ শেয়ার বেচাবিক্রির পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় যোগ হয় ৫২ টি শেয়ার। দীর্ঘদিন মূল্যস্তরের বাঁধায় আটকে থাকা শেয়ারের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ছাড়া ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কেউ।
মূল্য হারানোর তালিকার ২৯৩ টি কোম্পানির মধ্যে ক্রেতা না থাকায় ৯ শতাংশের বেশি দাম হারিয়েছে ১০০ টির বেশি কোম্পানি।
অর্থনীতিবিদ ও শেয়ার বাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, 'বিগত দেড় বছরে অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কাঠামো খারাপ হয়েছে। যার কারণে সেগুলো আগের মতো কেনা বেচা আশা করা যায় না। সেগুলোর দর নিচে নামার পরেও সমন্বয় হতে সময় লাগবে। এরপরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশও পাওয়া যাবে। আমাদের আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই।'
হতাশ হয়ে লোকসানে শেয়ার না বিক্রি করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সময়ের সাথে সাথে বাজারের স্বাভাবিক গতি আসবে বলেও মত তাদের।
এদিন (২১ জানুয়ারি ২০২৪) প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।