প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল সাড়ে ৯ টায় হুইসেল বাজিয়ে চারটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে একযোগে রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল করে। প্রথম পর্যায়ে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন দুটি পারাপারের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর ৬০ থেকে ১০০ ও ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।
তারা আরও জানান, সেতুটি পুরোপুরি চালু হলে ঘণ্টায় ব্রডগেজ ট্রেন ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মালবাহী ট্রেন চলাচলের করার কথা রয়েছে এ সেতুতে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিংয়ের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও আরও গতি ফিরবে।’ এছাড়াও দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানালেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৪.৮ কিলোমিটার যমুনা রেলওয়ে সেতু জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রেল সেতুটি চালু হলে একদিকে যেমন যাত্রীদের সময় বাঁচবে, অন্যদিকে যমুনা বহুমুখী সেতুতে প্রেশার কমবে।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বলেন, ‘সোমবার জাইকার কর্মকর্তা, সেতুর কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে।’