পরিষেবা
অর্থনীতি
0

জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবি

জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি আনার দাবি জানিয়েছেন গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। গণদাবি অনুযায়ী, বিদ্যুতের দাম কমাতে এই খাতে ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাবনা থাকলেও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় বাস্তবায়ন কঠিন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের মূল্যহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান তারা।

২০০৯ সালের পর থেকে বিগত সরকার ৮২টি বেসরকারি এবং ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবেই পরিশোধ করেছে এক লাখ চার হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যেগুলোর মধ্যে ৪০টির মতো বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন না করেও আত্মসাৎ করেছে বিপুল অর্থ।

বিদ্যুৎখাতে এমন অনিয়ম, জ্বালানি সরবরাহের সকল পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এসময় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নেই। জ্বালানিখাতে অনিয়মকারীদের বিচারের জন্য জাতীয় কমিটি গঠনের আহ্বান তার।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, ‘দাম কমানো ও জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে এই সরকারের সুনির্দিষ্ট চিন্তার অগ্রগতি দেখতে চাই।’

আলোচনায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল ও বিদেশি প্রকল্প প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান কমিটির সাবেক সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ।

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পরিবর্তন সূচনা করা। আমরা এই সরকারে কাছে দাবি জানাই, ভয়াবহ পিএসসি চুক্তি সেটা যেন অবিলম্বে বন্ধ হয়, দায়মুক্তি, রেন্টাল কুইক রেন্টাল বাতিল করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি অপরাধীদের বিচার করতে হবে। জাতীয় সক্ষমতার বৃদ্ধি এবং নবায়ন যোগ্য জ্বালানি এই দুইয়ের সংমিশ্রণ আমাদের বিদ্যুতের জন্য সব থেকে ভালো। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে যদি আমরা আগাই, তাহলে বিদ্যুতের দামও কমবে, পরিবেশেরও ক্ষতি হবে না।’

জ্বালানির দাম নির্ধারণে গণশুনানির আয়োজনসহ বিইআরসিকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান বক্তারা। বলেন, সব চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করা উচিত।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, ‘প্রত্যেকটা চুক্তির শর্ত চেঞ্জ হতে হবে। শর্তগুলো প্রকাশ করতে হবে। আমাদের জাতীয় সম্পদের মালিকানা আমরা বিদেশিদের কাছে দিতে পারবো না।’

জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুৎ, জ্বালানির মূল্য কমানো, স্বৈরাচারী সরকারের আমলের দেশ বিরোধী চুক্তি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী মন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টাদের বিচারের মুখোমুখিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে তেল গ্যাস রক্ষার জাতীয় কমিটি। এ নিয়ে ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর