উত্তর কিংবা দক্ষিণ। স্টেশন ধরে সামনে তাকালেই দেখা মিলবে শুধুই লালবাতির।
গত দুই সপ্তাহ ধরেই লাল সিগন্যালের অনড় অবস্থান। তাতে ঘোরেনি চাকা। বন্ধ দরজা, জানালা। ইঞ্জিনবিহীন ঠাঁই দাঁড়িয়ে ট্রেন। কমলাপুরের কর্মকর্তা, কর্মচারী তো বটেই শালিক, কাক আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের কাছেও এই আঙিনা অচেনা লাগছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, 'স্টাফ আর আমি ছাড়া এই কয়েকদিন কিছুই দেখি না। এইরকম অবস্থা আমি আগে কখনো দেখিনি।'
নিরাপদ বাহন না পেয়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা অস্থায়ী বসবাস শুরু করেছেন রাজধানীতে। আর স্বল্প দূরত্ব আর শহরতলীর অফিসগামীরা বেছে নিয়েছেন বাস।
যাত্রীদের একজন বলেন, 'ট্রেনে সবসময় আসতাম এখন ট্রেন চলে না বাসে যেতে হবে।'
প্রতিবেশি দেশের নিয়মিত ট্রেনযাত্রীরা বিকল্প হিসেবে যাত্রা করছেন আকাশপথে।
আরেকজন যাত্রী বলেন, 'বাসে যদি আমি টিকেট পায় তাহলে বাসে যাবো আর নাই পায় তাহলে আমার বিমানে যেতে হবে।'
এসময় প্রতিদিনই ঢাকা স্টেশন থেকে আশাহত হয়ে ফিরেছেন যাত্রীরা। একই অবস্থা ঢাকার বাইরের যাত্রীদেরও।
যাত্রীদের একজন বলেন, 'আমি ভাবছিলাম স্টেশন খোলা এসে দেখি বন্ধ রয়েছে।'
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, 'জরুরি প্রয়োজনে আমাদের কিছু তেলবাহী কন্টেইনার কিছু ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছে।'
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, পহেলা আগস্ট থেকে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বে চলবে ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, 'কারফিউ শিথিল থাকবে তখন আমরা লোকাল, কমিউটার ট্রেনগুলো চালাবো এক থেকে দু-দিন। পরিস্থিতি ভালো দেখি তাহলে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বে আন্তঃনগর ট্রেনও চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।'
শুরতে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে চলবে কমিউটার ট্রেন।