পরিষেবা
অর্থনীতি
0

নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে কর্মকর্তাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান

স্থির লক্ষ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার সমন্বয় হলে সাফল্য আসবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এসময় তিনি নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মকর্তাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (সোমবার, ১৫ জুলাই) ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ তৃতীয় হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করার পর তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, 'স্থির লক্ষ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার সমন্বয় হলে সাফল্য আসবেই। দলগত প্রচেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানের একাগ্রতা সাফল্যের নেপথ্যে বড় অবদান রাখে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।'

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা পুরস্কার বা ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার অর্জন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্রাহকদের এখন অন্যতম চাহিদা। প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার এলএনজি আমদানির পাশাপাশি নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, এলপি গ্যাসের ব্যবহার সম্প্রসারণ, আইন-নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে।'

উল্লেখ্য, এপিএ বাস্তবায়নে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ১০০-এর মধ্যে ৯৯.৯৬ পেয়ে প্রথম হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিতীয় স্থান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথম স্থান এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। —প্রেস বিজ্ঞপ্তি