পরিষেবা
অর্থনীতি
0

রাজধানীর ফিলিং স্টেশনে তীব্র গ্যাস সংকট

চলতি মাসের শুরু থেকেই গ্যাসের সংকট। যেটি গেল ১ সপ্তাহে আরও ঘনিভূত। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক ফিলিং স্টেশন। বিপাকে সিএনজিচালিত পরিবহনের চালক-মালিক। পেট্রোবাংলা এই সংকটকে সাময়িক বললেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আরও বাড়বে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকমাস থাকবে গ্যাসের এমন সংকট।

সিএনজি চালক আজাদ বলেন, 'কোথাও গ্যাস নেই। কতগুলো গ্যাস প্যাম্প ঘুরে এসেছি। এখন পর্যন্ত ৬শ’ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হইছে। সেখানে জমায় দিতে হবে ১১শ’ টাকা। কিভাবে চলবো।'

সিএনজি চালক আজাদের এমন প্রশ্নের যেন কোন উত্তর নেই। দেশে যারা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে যানবাহন চালান সবার মনে এমন জিজ্ঞাসা।

তিতাসের বেশিরভাগ সংযোগ ৪০ থেকে ৫০ বছর পুরনো। যে সংস্থার কাজ চলে বছরজুড়ে। আর অবৈধ সংযোগের কারণে দেশ হারাচ্ছে প্রায় দুইশো মিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট গ্যাস। তাই গ্যাস নিয়ে ভোগান্তিও নিত্যসঙ্গী। তবে এবার সে সংকট বেড়েছে আরও।

গ্যাস নিতে ভোর থেকে চালকদের অপেক্ষা। বেলা বাড়ার সাথে দীর্ঘ হয় সারি, তবে ততক্ষণে কাঙ্ক্ষিত চাপ থাকে না গ্যাসে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মেলে না প্রয়োজন মতো জ্বালানি।

একজন সিএনজি চালক বলেন, 'আমরা শুধু পাম্পেই দৌঁড়ায় আমাদের তো জীবন নেই সংসারও নেই। আর গ্যাস নিতে গেলে পুলিশ শুধু পিটাই।' 

আরেকজন বলেন, 'দিনে দুইবার করে নিতে হয় গ্যাস। সিরিয়াল থাকে। লাইনে গ্যাসের চাপ থাকে না।'

পেট্রোবাংলার পরিচালক ( পরিকল্পনা) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, 'লাইন আমরা করতেছি এতে সক্ষমতা বাড়বে। এর ফলে বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে ফিলিং স্টেশন সব জায়গায় ভারসাম্যভাবে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবো।'

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা আরও গভীরে। মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। তাতে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমেছে ৫০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট। সামনের কয়েক মাসে গ্যাস সংকট আরও বাড়ার শঙ্কা জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি বলেন, 'যে ঝড় হলো তাতে একটি এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাতে এইটা মেরামতের জন্য নিয়ে যেতে হবে। এখানে কিছুটা ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে।'

প্রতিদিন দেশে গ্যাসের চাহিদা ৪২০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি ঘনফুট। যেখানে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে গড়ে ২৫৫ কোটি ঘনফুট।

ইএ