রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যেকোনো প্রকার সহায়তা দেওয়ার জন্য রাশিয়া আগ্রহী।'
এছাড়াও উভয় দেশের পর্যটকেরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চলাচল শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেন, 'প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যে সমস্ত পর্যটক এখন পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে ভ্রমণ করেন তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা এ দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।'
প্রত্যুত্তরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছি। ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে ‘
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।'
ফারুক খান বলেন, 'বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারাদেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করার কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়াও আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি।’
রাশিয়ার আগ্রহের বিষয়টিকে সাধুবাধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।'