স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ

0

৩২ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ। মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টামির্নালের একটি থেকে সরবরাহ শুরু হয়েছে।

গত দু'দিনের গ্যাস সংকটে দুর্ভোগে পড়েন বিভাগের আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যখাতের ১১ লাখ গ্রাহক।

গ্যাস নাই তাই, আশপাশ থেকে কাঠ বা শুকনো গাছ সংগ্রহ করে মাটির চুলায় রান্না সারেন চট্টগ্রামের বেশিরভাগ বাসায়। কেউ ছাদে, কেউ বাসার সামনে, কেউ খোলা জায়গায় তিনবেলা খাবারের যোগান করেন স্থানীয়রা।

চট্টগ্রামে গ্যাসের আবাসিক গ্রাহক প্রায় ৫ লাখ ৯৭ হাজার। দুদিন ধরে চুলা জ্বালাতে তাদের হিমশিম অবস্থা ছিল।

বাসায় রান্না করতে না পেরে হোটেলে ছুটেন অনেকেই। দীর্ঘ অপেক্ষা আর বাড়তি টাকা টাকা গুণে নিতে হয় খাবার। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা ছিল হোটেল মালিকদের। গ্যাস না থাকায় বাড়তি দামে কাঠও কিনতে হয় তাদের।

উপায় না পেয়ে ভোগান্তি কমাতে কেউ ছুটেন সিলিন্ডারের দোকানে, কেউ কিনেছেন রাইস কুকার আর ইনডাকশান। চাহিদা বাড়ায় সেখানেও বাড়তি দাম থেকে নিস্তার নেই সাধারণ মানুষের। একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের দামও। ১৩৫০ টাকার সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকায়।

নগরীতে ৬৮ টি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ছিল না ২ দিন ধরে। পাম্পের সামনে ২ কিলেমিটারের দীর্ঘ লাইন। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেছেন অনেকে।

আর সিএনজি অটোরিকশার সংকটে সপ্তাহের প্রথম দিনেই তৈরি হয়েছিল গণপরিবহন সংকট। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পান নি যাত্রীরা। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া হাঁকিয়ে নেয় গণপরিবহনগুলো।

চট্টগ্রামে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে গ্যাসের গ্রাহক প্রায় ৫ হাজার। গ্যাসের অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে সবার, বেশ কিছু কারখানা গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়। এতে বিদেশি ক্রেতাদের হাতে যথাসময়ে পণ্য তুলে দেয়া কঠিন হবে বলছেন কর্মকর্তারা।

পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগে গ্যাসের মোট গ্রাহক সাড়ে ১১ লাখ। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট, পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ৫০০ মিলিয়নের মতো। ফলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায়ও দেখা দেয় গ্যাস সংকট।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনালের একটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় এ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পূর্বাঞ্চল। পরে শুক্রবার মধ্যরাতে যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর পর সরবরাহ শুরু হয়। তবে অন্য এলএনজি টার্মিনালও মাসখানেক ধরে বন্ধ রয়েছে।

এসএসএস