মাসের প্রথম দিকের তুলনায় শেষ মুহূর্তে ভিড়ও কিছুটা বেড়েছে। যদিও এ বৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কম।
নভেম্বর আসলেই রাজধানীর করদাতারা ছুটে আসেন সেগুনবাগিচায়। এবার টানা অবরোধ থাকায় তাতে ভাটা পড়েছে কিছুটা। তাই নির্ভেজাল রিটার্ন দিতে গোটা রাজধানীতেই এলাকাভিত্তিক বুথ চালুর দাবি করদাতাদের।
তারা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের মাঝে আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক থাকলেও রিটার্ন দিতে আসতে হয়েছে।’
এনবিআরের তথ্য বলছে, ৩১টি অঞ্চলে মেলার অর্ধেক মাসে রিটার্ন পড়েছে ৩ লাখের মতো।
সেগুনবাগিচায় বিভিন্ন কর অঞ্চলে গিয়ে জানা যায়, ১৯ তারিখ পর্যন্ত কর অঞ্চল-৬ এর মেলায় রিটার্ন পড়েছে ২৫ হাজার। কর অঞ্চল পাঁচে, ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮১৫টি। অঞ্চল ১৩-তে সাড়ে ১০ হাজার। অঞ্চল-৩ এ প্রায় ২৮ হাজার। গত বছরের চেয়ে এবার রিটার্ন কম থাকলেও মাসের শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী অঞ্চল কমিশনাররা।
অঞ্চল-৬ এর কর কমিশনার লুৎফুল আজীম বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বড় অংকের যারা কর পরিশোধ করবেন তারা ব্যাংকে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। এ পর্যন্ত যা রিটার্ন পড়েছে, আগামী সপ্তাহে এর তিনগুণ পাবো বলে আশা করছি।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা না কাটলে নভেম্বরের পর মেলা বাড়ানোর দাবি রিটার্নদাতাদের।