ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুরের পালপাড়া। কেউ ব্যস্ত মাটি প্রস্তুতে, কারো দৃষ্টি নিপুণ নকশাকরণে। আবার কিছু কারিগর রঙের আঁচড়ে আকর্ষণীয় করে তুলছেন মৃৎশিল্প।
পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এগিয়ে এসেছে শরীয়তপুরের পাল বংশের নতুন প্রজন্মের মৃৎশিল্পীরা। তৈরি করছেন নান্দনিক মাটির পণ্য। শহুরে জনগোষ্ঠী আর বহির্বিশ্বের চাহিদা মাথায় রেখে করছেন পরিবর্তন এসেছে নকশা আর শোপিসের ধরনে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে হাজারও দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম।
মৃৎশিল্পীদের একজন বলেন, 'নতুন নতুন ডিজাইন আমরা তৈরি করি সেটাই বিদেশে পাঠায়।'
নিপুণ কারুকার্যে তৈরি এসব মাটির পণ্য দৃষ্টি কাড়বে যে কারও। মৃৎ শিল্প পরিবেশবান্ধব এবং পণ্যের বৈচিত্র্য থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্রেতার চাহিদা। এমনকি শরীয়তপুরের এসব পণ্যে বিক্রি হচ্ছে আড়ং, বিবিয়ানা, হীড বাংলাদেশ, কোর দি জুট ওয়ার্কস, উষা হ্যান্ডিক্রাফটসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের আউটলেটে। রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকার ও অস্ট্রেলিয়ারসহ অন্তত ২৫টি দেশে।
মৃৎশিল্পীদের আরেকজন বলেন, 'নতুন ডিজাইন যেগুলো বাহিরে ব্যবহার হয় সেগুলো আমরা তৈরি করার চেষ্টা করি।'
তবে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে আধুনিক চুল্লি, চাকা আর মাটির মিশ্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলছেন মৃৎশিল্পীরা। দাবি জানিয়েছেন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির।
জেলা প্রশাসক বলছেন, এই পেশাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, 'এই পেশাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ এগিয়েছে।'
মৃৎশিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এই খাতে বিনিয়োগ করলে আরও বড় পরিসরে কাজ করা যাবে।