উদ্বোধনের আগে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, 'জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। সেজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যথাক্রমে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা দেয়া ও বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে শোকেসিং ইত্যাদি।'
সচিব বলেন, 'উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। এক সময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল। এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার।'
তিনি বলেন, 'বর্তমানে জামদানির বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদেশিদের নিকটও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়। নবীন কারিগররা জামদানির নকশা বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞ নয়। সেজন্য গত ১১ মার্চ থেকে এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে।'
আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরও গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। যেকোনো শিল্পে উৎপাদন খরচ না ওঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না- বলনে সচিব।
বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেন, 'প্রতি বছর সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলায় জামদানি প্রদর্শিত হয়। সেখানে কারুশিল্পীরা জামদানি তৈরির বুনন কৌশল প্রদর্শন করেন।'
তিনি বলেন, 'ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় আরও বেশি সংখ্যক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল শাড়িকেও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।'
আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী 'জামদানি মেলা-২০২৪' এর উদ্বোধন করা হয়।
