চার দশক আগে ঝালকাঠিতে শুরু হয় গামছা শিল্পের যাত্রা। দেশ ছাড়াও বিদেশে সমাদৃত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতের গামছা।
ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে গনি মিয়া এখন আর নেই। এতদিন এ গামছা তাঁতশিল্পের মাধ্যমে হাতে বোনা হতো। এতে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে বর্তমানে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এ শিল্প। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেড়েছে উৎপাদনও।
গেল বছর তাঁতের চারটি মেশিন দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে গনি মিয়ার সেই ব্যবসা। প্রতিদিন যেখানে উৎপাদন হচ্ছে আড়াইশ'র বেশি গামছা।
উদ্যোক্তা খোকন মিয়া বলেন, 'ঝালকাঠিতে আমরাই প্রথম আধুনিক মেশিনে গামছা তৈরি করছি। চীন থেকে চারটা মেশিন এনেছি। এগুলোতে ভালো গামছা তৈরি হচ্ছে।'
নারায়ণগঞ্জ থেকে এ পণ্যের কাঁচামাল আনা হয়। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসে ডিজাইন করেন বাহারি রঙয়ের গামছার। যার বর্তমান খুচরা মূল্য ৩৬৫ টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঝালকাঠির গামছা চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রসারে কারিগরদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন বিসিক'র উপ-ব্যবস্থাপক এইচ এম ফাইজুর রহমান। বলেন, 'অত্যাধুনিক মেশিনে গামছা তৈরি হওয়াটা আমাদের জন্য আশার সংবাদ। তাঁতের সঙ্গে জড়িতরা আমাদের কাছে আসলে আমরা কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা করবো।'
গত দুই দশকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলো ঝালকাঠির গামছা শিল্প। জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় আগ্রহ দেখাচ্ছেন নতুন উদ্যোক্তারা।