চলতি বছর শুরু হয়েছে বেসরকারি খাতে ৩.৮৯ শতাংশ ঋণাত্বকের ঘাটতি নিয়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরো, বিবিএসের হিসেবে যদিও নভেম্বরে ১৭.৩৬ শতাংশ আমদানি হয়েছে তার সাথে একমত নন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি- ডিসিসিআই । তাদের মতে শিল্পে ৪০ শতাংশ আমদানি কমেছে কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশে। খুব বেশি অগ্রগতি না থাকলেও অন্যদিকে বাড়ছে করের চাপ। কাগজে কলমে কর্পোরেট কর ২৭.৫ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃত কর ৪০ শতাংশ বলে জানায় ডিসিসিআই।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে বাই- এন্যুয়াল ইকোনমিক স্টেট এন্ড ফিউচার আউটলুক অব বাংলাদেশ ইকোনমি- প্রাইভেট সেক্টর পার্সপেক্টিভ শীর্ষক আলোচনায় চলতি বছরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ডিসিসিআই। সংগঠনটির সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের ব্যাংক ঋণের ৯০ শতাংশই উদ্যোক্তা ঋণ। সুদের হার বাড়ানোর কারনে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ১৭ ডিসেম্বরের মূদ্রানীতি নিয়ে আলোচনায় পিআরআই এর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, পলিসিগুলো সময় উপযোগী হচ্ছে না। যে কারণে সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সাবেক ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, ব্যাংকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার একদিকে টাকা মূল্যবান করতে চাইছে সরবরাহ কমিয়ে, অন্যদিকে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিচ্ছে, এটা স্ববিরোধী। তাহলে ব্যবসায়ীরা কেনো বিনিয়োগ করবে(?) বলেও প্রশ্ন করেন।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সবাই টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দেয়ার অভিযোগ করেন কিন্তু বাস্তবে তা সত্য নয়। টাকা ছাপানো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নিয়মিত কাজ। টাকা ছাপানো মানেই সরকারে দেয়া নয়। বাস্তবতা হলো গেল ছয় মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি টাকাও অর্থনীতিতে ইনজেক্ট করেনি।
মূদ্রানীতির সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি বলেন, কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার প্রয়োজন। নীতির স্থিতিশীলতার অভাব আছে বলে তিনি মনে করেন।