ঢাকা জেলার মানুষের মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার

ডিসিসিআইয়ের অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভা
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভা | ছবি: সংগৃহীত
0

ঢাকা জেলার মানুষের গড় বার্ষিক মাথাপিছু আয় বর্তমানে ৫ হাজার ১৬৩ ডলার (৬ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা, ১২১ টাকা ডলার অনুযায়ী)। এটি দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অর্থবছর (২০২৪–২৫) শেষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অর্থনৈতিক অবস্থার সূচকে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল (শনিবার, ২৫ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

জরিপে উঠে আসে, জিডিপির ৪৬ শতাংশ ঢাকার অবদান। মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশই রাজধানীতে। দেশে মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশের বেশি ঢাকায় বসবাস করে। যা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।

এতে আরও উঠে আসে, মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ ঢাকা থেকে হয়। ৩৬৫ প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদন খাতের ৫৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের দখলে সেবাখাত। এছাড়া, তৈরি পোশাকের ৫৮ শতাংশ ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের দখলে।

সর্বশেষ গত মে মাসে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। এতে উঠে আসে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন (২০২৪–২৫ অর্থবছর) ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। এ মাথাপিছু আয় এযাবৎকালের রেকর্ড। এর আগের অর্থবছরের চেয়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৮২ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ডলার। তবে বিবিএস বিভাগ বা জেলাভিত্তিক মাথাপিছু আয়ের হিসাব করে না।

মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ আয়ের পাশাপাশি প্রবাসী আয়সহ যত আয় হয়, তা একটি দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে এই হিসাব করা হয়।

বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২১–২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এরপর ২০২২–২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৪৯ ডলারে। গত অর্থবছরে তা আরও কমে ২ হাজার ৭৩৮ ডলার হয়। মূলত ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বিবিএসের হিসাবে মাথাপিছু আয়ের পার্থক্য হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘স্থানীয় বিভিন্ন সূচকে দেখা যায়, দেশের অর্থনীতি ভালো করছে। কিন্তু বৈশ্বিক সূচকের কিংবা অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখতে পাই, আমরা বিভিন্ন সূচকে সবচেয়ে নিচের দিকে থাকি। তাই এসব সূচকের তথ্যে আত্মতুষ্টির কারণ নেই; বরং এসব সূচককে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে তুলনা করে প্রকাশ করলে সেটি বেশি কার্যকর হবে।’

আর ইপিআই সূচকটি প্রতি মাসে প্রকাশ করা ও সূচকের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন ঢাকা চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

ইএ