শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

জনবল সংকটে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

নীলফামারী

জনবল সংকটে ভুগছে দেশের বৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। নতুন রেলরুট চালু আর পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগে ক্রমশই বড় হচ্ছে রেল নেটওয়ার্ক। প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে নতুন কোচেরও। কারখানায় প্রায় তিন হাজার পদের বিপরীতে বর্তমান জনবল প্রায় সাড়ে ৯শ'।

দেশের ৪৩ জেলায় বিদ্যমান রেলপথের ঘটা আকস্মিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বগি মেরামতেও এসেছে গতি। আর এসব নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মীদের যত ব্যস্ততা।

দেড়শ' বছরেরও বেশি সময়জুড়ে সৈয়দপুরের এই রেলওয়ে কারখানায় চলছে কোচ মেরামত। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৩১৭টি কোচ মেরামত করে চলার উপযোগী করেছে এই কারখানা। জনবল সংকটে ধুকতে থাকা কারখানাটি দৈনিক রেলের তিনটি ইউনিট মেরামতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালু রেখেছে।

বহুবছর জনবল নিয়োগ না হওয়ায় প্রায় তিন হাজার পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৯৪৩ জনবল। এমন বাস্তবতায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নবনিযুক্ত রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম প্রথমবারের মত ঐতিহ্যবাহী এই রেল কারখানা পরিদর্শন করলেন।

১১০ একর জমিতে গড়ে ওঠা কারখানাটির ২৮টি আলাদা ওয়ার্কশপে তৈরি হতো ট্রেন সংশ্লিষ্ট প্রায় ১২'শ ধরনের যন্ত্রাংশ। এছাড়া এখানে তৈরি হতো কোচ ও ওয়াগন। তবে জনবল সংকটে কমেছে উৎপাদন। এমন প্রেক্ষাপটে দেড় দশক ধরে আশ্বাস মিললেও কারখানার আধুনিকায়নে দৃশ্যমান হয়নি তেমন কোনো পদক্ষেপ। তবে নতুন রেলমন্ত্রীর ঘোষণা জনবল নিয়োগ দিয়ে দেয়া হবে প্রশিক্ষণ।

জিল্লুল হাকিম বলেন, 'প্রত্যেকটা কারখানার যে ক্যাপাসিটি আছে আমরা ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারি কিন্তু সমস্যাটা হলো আমাদের লোকবলের অভাব। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের যে যন্ত্রপাতি আছে এবং আরও কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লোকবল নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা রেলকে অন্তত একটা উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

এছাড়া রেলের খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আর রেললাইনের দু'ধারে গড়ে উঠা বস্তিবাসীদের নিয়েও পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী। বলেন,'দখল করে আছে কারা? এক ধরণের দুর্বৃত্ত আছে যারা এই কাজগুলো করছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের রেলের জন্য যতটুকু জমি প্রয়োজন সেইগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো।'

এদিকে ২০১৬ সালে কারখানার ভেতরে ২০ একর জায়গার উপর কোচ ও ওয়াগন তৈরির জন্য একটি নতুন ক্যারিজ শপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে নতুন রেলমন্ত্রীর আশ্বাস কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটি এখন দেখার অপেক্ষা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর