দেশের সকল নির্মাণের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে রড বা ইস্পাত। দেশের উন্নয়ন যাত্রায় গাঁথুনি দেয় এসব উপকরণ।
দিন দিন এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। তবে এই খাতে সুযোগ সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি উদ্যোক্তাদের।
জেডএসআরএম এর ব্যবস্থাপক সুব্রত কুমার ঘোষ বলেন, 'আমাদের যে পরিমাণে বিদ্যুতের দরকার হয়। আমরা তা পাচ্ছি না। সপ্তাহে একদিন দেখা যাচ্ছে অন্য উপায়ে কাজ করতে হয়। এতে উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। মিল বন্ধ থাকলে উৎপাদন কমে যায়। এতে আমরা লোকসানে পড়ে যাই।'
শনিবার জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলসের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উদ্যোক্তারা। পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তাদের উৎপাদনের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ও উচ্চশক্তির বিশেষায়িত রড। বিশ্ববাজারে মেল্টিং স্ক্র্যাপের দুষ্প্রাপ্যতার মতো নতুন চ্যালেঞ্জের কথাও জানান তিনি।
মো. হুমায়ুন কবির বলেন, 'আমাদের ফ্যাক্টরির সামর্থ্য আছে প্রায় দেড় লাখ টন। কিন্তু আমরা ৯০ হাজার থেকে একলাখ টন করতে পারছি। কাঁচামালের কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে। কিছুটা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমরা আছি। ওইভাবেই মানিয়ে চলছি।'
দেশে লৌহ শিল্পের প্রবৃদ্ধি ঘটছে ১৯৯০ সালের পর থেকে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ লাখ টন রড বা ইস্পাত উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে।