বিসিকের স্টলে নিবন্ধিত ১৪ জন উদ্যোক্তার ২০-২৫ ধরণের হাতে তৈরি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশের নানা প্রান্তের ২১ জন নারী উদ্যোক্তার পণ্য জয়িতা ফাউন্ডেশনের আলাদা স্টলে রয়েছে।
পণ্যের বৈচিত্র্যতা বাড়ায় এবং মানে ভালো হওয়াতে দেশিয় পণ্যে আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের। তবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রথম ১০ দিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
উদ্যোক্তারা বলেন, 'আমরা বাঙালী তাই নিজেদের হাতে কাজ করা জমাগুলো পছন্দ করি। ক্রেতারা আমাদের পোশাকগুলো পছন্দ করছে। তবে কেনার চাইতে দেখে চলে যাওয়ার মানুষ বেশি। যে আশা করেছিলাম তা মোটামুটি পূরণ হয়েছে। কিন্তু সামনের দিকে আমাদের আশাটা আরও বেশি।'
পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুদের সাথে বাণিজ্য মেলায় আগতদের কেউ পণ্য কিনলেও অনেকে শুধু ঘুরছেন। দিন বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ হয়েছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি দর্শনার্থী বৃদ্ধি পেলেও বেচাকেনা বাড়েনি।
বিক্রেতারা বলেন, 'ক্রেতারা ঘুরাঘুরি করছে কিন্তু ঐ তুলনায় বেচাকেনা নাই। বিক্রির তো একটা লক্ষ্য আমাদের থাকেই। তবে সে ব্যাপারে আমরা মোটামুটি হতাশ।'
ক্রেতারা বলেন, 'ঘুরে ঘুরে দেখছি যেটা পছন্দ হয় সেটা কিনবো। ভাবলাম বাণিজ্য মেলা থেকে একটু ঘুরে আসি, তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। যদি পছন্দ হয় তাহলে অবশ্যই ক্রয় করবো।'
নতুন মাসে বেচাকেনা জমার পাশাপাশি রপ্তানি আদেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে জানান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পরিচালক বিবেক সরকার। বলেন, 'আশা করছি আগামী সপ্তাহে বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শণার্থীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৩০০ কোটি ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল। এবছর আরও বাড়বে বলে আশা করি। এই লক্ষ্যে আমাদের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।'