২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম বিএসসির নিট মুনাফা ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেবছর নিট মুনাফা হয় ২২৫ কোটি টাকা। সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে সরকারি এ জাহাজ কোম্পানি।
৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছর বিএসসি প্রথমবারের মতো নিজস্ব অর্থে ৯৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দুটি কার্গো জাহাজ কেনায় লভ্যাংশ বাড়ানো যায়নি। আগামী ছয় মাসে বিএসসির বহরে যুক্ত হবে আরও তিনটি নতুন জাহাজ।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, বন্দরে নতুন নতুন টার্মিনাল হচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর পুরো মাফিয়া চক্রের অধীনে।
তিনি বলেন, ‘অতীত আপনারা ভালো করে জানেন, আমাকে বার বার বলতে হবে না। এ বন্দরে যে কী ধরনের মাফিয়া ছিল, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন। আজ পোর্টের এই উন্নতি কেন? অতীতে হয়নি কেন? এ পোর্টে তো নতুন করে কোনোকিছু করা হয়নি। আর যখনই কোনো কথা বলা হয়, তখনই স্বার্থে আঘাত লাগে।’
চীন থেকে কেনা দুটি জাহাজের মধ্যে থেকে এরই মধ্যে বহরে যুক্ত হওয়া ‘বাংলার প্রগতি’ থেকে প্রতি দিন ২৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এশিয়ান ইনফ্রস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় আরো ছয়টি কনটেইনার জাহাজ কেনার প্রক্রিয়াও চলছে এলও জানান বিএসসির ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক।
বিএসসির ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, ‘বিএসসি তার ইতিহাসে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৯৩৬ কোটি টাকা ব্যয় করে দুটি জাহাজ কিনেছে, আরও একটি কিনতে চলেছে। জাহাজ কেনায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হওয়ার কারণে আমরা এবার আমাদের প্রফিট বোনাস থেকে শুরু করে লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের একই রেখেছি।’
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা আগামীতে লভ্যাংশ আরো বাড়ানোর দাবি জানান। শেয়ারহোল্ডারদের মধে একজন বলেন, ‘যারা পরিচালনা করে বা এখানে আমরা যারা রেজিস্ট্রেশন করেছি, তাদের ব্যাপারেও একটু লিবারেল ভূমিকা যাতে পালন করা হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য আমি অনুরোধ করছি।’
বর্তমানে বিএসসির মোট সম্পদের পরমিান প্রায় ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, আর দেনার পরিমাণ ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।





