নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানিকারকরা, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের আভাস

বাজার , আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি স্বর্ণ আসে ব্যাগেজ রুলের আওতায়। ফলে নিরুৎসাহিত হচ্ছে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি। এমন প্রেক্ষাপটে বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে বসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে ব্যাগেজ রুল সংশোধনের আভাস দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো.আবদুর রহমান খান। তবে অনিয়ম রোধে কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়েছে এবিআর।

দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি স্বর্ণ আসে ব্যাগেজ রুলের আওতায়। ফলে নিরুৎসাহিত হচ্ছে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি। এমন প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে বসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে ব্যাগেজ রুল সংশোধনের আভাস দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো.আবদুর রহমান খান। তবে অনিয়ম রোধে কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়েছে এবিআর।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুয়েলারি খাত থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা। এ শিল্পে ভ্যাটের হার পাঁচ শতাংশ। সে হিসাবে সারাদেশে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ১৮০ কোটি টাকার। তবে দেশে স্বর্ণের বাজার প্রকৃতপক্ষে আরও বড়, বলছে এনবিআর।

২০২০-২১ অর্থবছরে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩০৭ কেজি স্বর্ণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ পরবর্তী তিন বছরে নীতিমালা অনুসরণ করে দেশে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬০ কেজি স্বর্ণ। আর বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিনা শুল্কে যাত্রীদের মাধ্যমে ২০২৩ সালে ৫২ টন এবং ২০২২ সালে ৫৪ টনের মতো স্বর্ণ এসেছে দেশে। যেখানে বছরে স্বর্ণের চাহিদা ২০ থেকে ২২ টন।

বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করতে আজ (রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এনবিআর। এসময় ব্যবসায়ীদের কাছে আমদানি কম হওয়ার কারণ জানতে চান এনবিআর চেয়ারম্যান।

ব্যাগেজ রুলের আওতায় প্রতিজন ১০০ গ্রাম করে স্বর্ণ বিনা শুল্কে বিদেশ থেকে আনতে পারেন। এই সুবিধা নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি হচ্ছে, যার একটি অংশ চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এটি বন্ধে ব্যবসায়ীরা কী পদক্ষেপ নিবেন তা স্পষ্ট না করে বরং এলসি খোলা ও বিএসটিআইয়ের জটিলতা তুলে ধরে ব্যাগেজ রুল আইন সংশোধন ও ভ্যাট কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কিন্তু ঘুরে ফিরে বিএসটিআই'র মাধ্যমেই আমদানি করতে গিয়ে সিএনএফকে পয়সা দিয়ে ঘুরেফিরে কিন্তু একই দাঁড়াচ্ছে।’

অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার পণ্যের দাম পড়লো এক লাখ ১২ হাজার টাকা। অথচ যে লোক দুবাই, সিঙ্গাপুর থেকে ব্ল্যাকে নিয়ে আসতেছে সে কিন্তু খোলা মার্কেটে এক লাখ পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করে চলে যাচ্ছে।’

আলোচনায় এনবিআর সদস্যরা জানান, ইএফডি বাস্তবায়নেও অনীহা ব্যবসায়ীদের। যদিও এ অভিযোগ নাকচ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির অধিকাংশই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে ভবিষ্যতে এনবিআর আরও কঠোর হবে, সংশোধন হবে ব্যাগেজ রুলও।

মো.আবদুর রহমান খান বলেন, ‘বিমানের মধ্যে পেটের ভেতর যদি কিছু আসে তাহলে আমরা কিন্তু এটাকে খুব সিরিয়াসলি দেখছি, কারা এটার সাথে জড়িত। ব্যাগেজ রুলের একটা সংশোধনীর উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। একটা আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এটা আমাদের লেভেলে শেষ করার পরে এটা পাবলিক কনসালটেশনের জন্য দিয়ে দেবো। একমাসে সাতবার আসার সময় সাতবার নিয়ে আসে এটা আর হবে না।’

এদিকে চলতি বছর জরিমানাহীন আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময় আর বাড়বে না জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার। মোট রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৭ লাখের বেশি।

এসএস