এদিন প্রায় ৩ টন হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয় ভারতে। এছাড়া দুপুর সোয়া ১২টা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার কার্যক্রমও স্বাভাবিক হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে গত ২১ আগস্ট আখাউড়া উপজেলার ৪০টিরও বেশি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দরও।
এতে করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রভাবে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি থেকে বঞ্চিত হন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া যাত্রীদের ভ্রমণকর বাবদ প্রতিদিন অন্তত ৪ লাখ টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল থেকে সীমিত পরিসরে আবারও পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুটি মেরামত না হওয়ায় আপাতত আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে কালিকাপুর হয়ে বিকল্প সড়ক দিয়ে মাছবোঝাই ছোট ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করছে। তবে ভারী ট্রাকগুলো বন্দরে আসতে না পারায় পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ওসি মো. খায়রুল আলম জানান, বন্যার পানি সরে গেলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে যাত্রী পারাপার শুরু করা যাচ্ছিল না। ঢাকা থেকে একটি কারিগরি দল এসে ত্রুটি সারানোর পর সোমবার দুপুর থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে।