এতে অন্তত ৩ কোটি টাকার রপ্তানি আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যাতে সরকারও রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারে আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিসও বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজীরবাজার এলাকায় জাজি নদীর ওপর নতুন পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করছে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নির্মাণ শেষ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বর্তমানে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে মাটি ফেলে বিকল্প সড়ক তৈরি করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তবে আসছে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সড়কটি ভেঙে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে নির্মাণাধীন গার্ডার সেতুর পাশে একটি বেইলি সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সড়ক বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এর কাজ শুরু হয়।
তাই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যদিও গাজীরবাজার থেকে কালিকাপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে মাছের ছোট পিকআপ ভ্যানগুলো রপ্তানির জন্য স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। তবে রড, সিমেন্ট, পাথর ও প্লাস্টিকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে পারবে না।
আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিবুল হাসান বলেন, 'সড়ক বন্ধে দুইদিন শুধুমাত্র মাছ রপ্তানি হবে। মাছের পিকআপ ভ্যানগুলো গ্রামের ভেতরের সড়ক দিয়ে বন্দরে আসবে। তবে অন্যান্য পণ্যবোঝাই বড় ট্রাকগুলো বন্দরে আসতে না পারায় রপ্তানি হবে না। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির মু্খে পড়বেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।'
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে গার্ডার সেতুর পাশের সড়কটি ভেঙে যেতে পারে। যার ফলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য বর্ষার আগেই বিকল্প হিসেবে বেইলি সেতু স্থাপন করা হচ্ছে। আগামীকাল রাতের মধ্যেই সেতু স্থাপনের কাজ শেষ হবে।'
