রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেড়েছে ভোগ্যপণ্য আমদানি। চিনি, ভোজ্য তেল, খেজুর, ডাল, ছোলাসহ মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়লেও ইতিবাচক কোন প্রভাব নেই বাজারে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান বলছে, গেল ফেব্রুয়ারি মাসে বন্দর দিয়ে খেজুর আমদানি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টন, ডাল ২১ হাজার টন আর মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টন। এক্ষেত্রে আমদানি বাড়লেও খেজুর, ছোলাসহ কিছু পণ্য খালাসে রয়েছে ধীরগতি। এমন অবস্থায় দ্রুত পণ্য খালাসের তাগিদ দিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, 'সবগুলো ভোগ্যপণ্যবাহী কনটেইনার ডেলিভারি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা আমাদনিকারক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পত্র দিচ্ছি। বিশেষ করে কোন পণ্য বন্দরে রেখে যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয়। আর ভোক্তরাও যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে তাই আমরা তাদের তাগাদা দিয়ে থাকি।'
আমদানিকারকরা বলছেন, টাকা খরচ করে পণ্য আমদানি করে কেউ ইচ্ছা করে ফেলে রাখেন না। তবে ল্যাব টেস্টে সময়ক্ষেপণ ও বিভিন্ন দপ্তরের ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় খালাসে বাড়তি সময় লাগছে। এজন্য শিপিং এজেন্টদেরও দায়ী করেন তারা।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এ কে এম আখতার হোসেন বলেন, 'আমাদের তো দৌড়াত্ম্য অনেক বেশি। অনেকগুলো ধাপ শেষ করার পর আবার কাস্টমসের নমুনা সংগ্রহ আছে। সবকিছু মিলিয়ে সময় তো একটু লাগবেই। বিকেল ৩টায় শিপিং এজেন্ট বন্ধ করে দিবে কেন। তাদেরকে অবশ্যই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে।'
সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, খেজুরের মূল্য ও শুল্ক নিয়ে বিরোধ এবং ছোলাসহ কিছু পণ্যের মান নিয়ে জটিলতায় বিপুল অংকের পোর্ট ও শিপিং ডেমারেজ দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। তাই অনেকেই সময়মতো পণ্য খালাস করতে পারছেন না। যদিও বর্তমানে বন্দরে ভোগ্যপণ্য খালাসের ক্ষেত্রে জট নেই বলে দাবি তাদের।
এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার আছে প্রায় ৩৩ হাজার টিইইউএস। এরমধ্যে রেফার বা হিমায়িত পণ্যের কনটেইনার আছে ১ হাজার ৬০০ টিইইউএস।