বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারের কাছে হস্তান্তরের পর পরীক্ষামূলকভাবে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি বন্দরের ৪ নম্বর গেটে স্থাপিত স্ক্যানারের টানেল দিয়ে পার হয়।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন এই স্ক্যানার স্থাপনের মাধ্যমে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর নিরাপত্তা কোড- আইএসপিএস বাস্তবায়ন করলো বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এতে চোরাচালান ও রপ্তানি জালিয়াতি বন্ধের পাশাপাশি বন্দরের ভাবমূর্তি ও দক্ষতা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে মোংলা, পায়রাসহ সব স্থলবন্দরে স্ক্যানার বসানো হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
চলতি বছরে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু হবে জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি বন্দর হলে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে বহুগুণ। বন্দরের ও শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করে এনসিটিসহ পর্যায়ক্রমে বন্দরের অন্যান্য টার্মিনালও বিদেশি অপারেটরকে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই সৌদি আরবের রেডসি গেইটওয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পুরোদমে চালু করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আকর্ষণীয় বিনিয়োগের হাব হিসিবে পরিচিতি লাভ করায় বিশ্বের শীর্ষ সব লজিস্টিক কোম্পানি চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছে।’
এদিকে দ্রুত আমদানি পণ্য খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের জন্য বন্দরের সব গেটে স্ক্যানার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন শিপিং এজেন্টরা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, ‘বন্দরে স্ক্যান করা হলে বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে। আর অসৎ ব্যবসায়ীরাও আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত হতে পারবে না।’
নতুন স্থাপিত দু’টি রপ্তানি কন্টেইনার স্ক্যানারের লাইফটাইম ১০ বছর। ঘণ্টায় ১৫০টি কন্টেইনার স্ক্যানিং করতে পারবে এই স্ক্যানার, যা গোল্ড, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, মেটাল, নন মেটালসহ সব ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ও রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য শনাক্ত করতে পারবে।