সিলেটের তামাবিল, ভোলাগঞ্জ, শেওলা, সুতারকান্দি, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া, চারাগাঁও, ইছামতী ও চেলা স্টেশনসহ সিলেট বিভাগের ১৩টি শুল্ক স্টেশনের অন্যতম আমদানি পণ্য পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা।
গেল ৮ জানুয়ারি ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোনে নতুন করে শুল্ক আরোপ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রতি টন পাথরে ১৩ ডলার, স্টোন চিপসে ১৪ ডলার ও লাইম স্টোনে ১৩ দশমিক ৫ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। প্রতিবাদে সবগুলো শুল্ক স্টেশনে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ করে দেন।
তামাবিল পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের কার্যকরী সদস্য জাকির হোসেন বলেন, 'অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির জন্য এই বন্দরের কাঁচামালের ব্যয় বাড়ার কারণে আমরা টিকে থাকতে পারছি না।'
এই গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, 'এক সিপটি পাথরে যদি সাত টাকা বেড়ে যায়, আমরা এক সিলে ব্যবসা করে এক টাকাও লাভ করতে পারি না।'
সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, 'শুল্কের হার বাড়ানোতে ভারতের রপ্তানিকারকরাও আমাদেরকে চাপ দিচ্ছে দাম বাড়ানোর জন্য।'
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন শুল্ক আরোপ হওয়ায় তা কমানোর সুযোগ নেই বলে দাবি করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, 'বৃদ্ধিটা অতিসামান্য এবং যৌক্তিক। উনারা সকলেই এই আইন-কানুনগুলো জানেন, সমস্ত নথিপত্র উনাদের কাছে আছে। এরপরেও আমি বলেছি আপনাদের কিছু বলার থাকলে এনবিআর ( জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কে জানান। দেখেন কোন ভিন্নতর সিদ্ধান্ত পান কিনা।'
দু'পক্ষের অনড় অবস্থানে প্রতিদিন সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যা সমাধানের আলোচনা চলছে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'এখানে বন্দর এবং মানুষের কাজের স্থবিরতা দৃশ্যমান। এ বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি দ্রুত নিরসনের জন্য।'
এদিকে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি তাদের।