শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৩টি স্থলবন্দরে আমদানি বন্ধ

0

নতুন অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু যুক্ত হওয়ার প্রতিবাদে সিলেটসহ বিভাগের ১৩টি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ দশমিক ২৫ ডলার বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে কর বিভাগ। এতে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। ১১ দশমিক ৭৫ ডলার থেকে সরাসরি ১৩ ডলার শুল্ক কর উন্নীত করায় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় বিভাগীয় স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন ব্যবসা পরিচালনা কমিটি। এতে সিলেটের স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে।

বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া কয়েক হাজার শ্রমিক অর্থ সংকটে পড়েছেন। শ্রমিকরা বলেন, '১০-১২ হাজার মানুষ এই বন্দর দিয়া চলে। বন্দর বন্ধ থাকাতে আমাদের খুব সমস্যা হইতেসে। পোলাপান স্কুলে ভর্তি করাইতে পারতেসি না, কোন কাজ-কাম নাই।'

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১ দশমিক ২৫ ডলার বৃদ্ধির ফলে প্রতি মেট্রিক টনে তাদের খরচ বাড়বে প্রায় ৯০ টাকা। যা ট্রাকপ্রতি খরচ বাড়েব ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা। ক্রয় ও বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য বিবেচনা না করে শুল্ক কর বাড়ানোর জন্য চাপে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

ইছামতি বর্ডার লাইমস্টোন আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক অরুণ বাবু বলেন, 'ক্রয়মূল্য আর বিক্রয়মূল্যের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এই অবস্থায় আমরা মার্কেটে টিকে থাকতে পারছি না। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।'

ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে দৈনিক প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিকটন লাইমস্টোন ও বোল্ডার স্টোন আমদানি হয়। বন্ধ থাকায় সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমন পুরো অঞ্চলের অর্থনৈতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে । তাদের দাবি, দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের সঙ্গে মিল রেখে শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে।

চুনাপাথর,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, 'হঠাৎ করে যেন কোন সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়, এটিই চাওয়া।'