আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

বিদায়ী বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা

চট্টগ্রাম

উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে ডলার সংকটে গত বছর কঠিন সময় পার করেন ব্যবসায়ীরা। এতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে। ২০২২ সালে ৩১ লাখ ৪২ হাজার টিইউএস কনটেইনার ওঠানামা করলেও ২০২৩ সালে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিইউএস হয়েছে। যা প্রায় ৯২ হাজার টিইইউস কম। এক বছরে কনটেইনারে পণ্য পরিবহন কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

গত বছরে বন্দরে জাহাজ আসাও কমেছে। ২০২২ সালে ৪ হাজার ৩৬১টি জাহাজ ভিড়লেও ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে ভিড়েছে ৪ হাজার ১০৩টি জাহাজ। বছরের শেষ প্রান্তিকে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।

কাঁচামালের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় লোকসান কমাতে সদ্য শেষ হওয়া বছরে বড় শিল্প গ্রুপগুলো বিনিয়োগে হিসেবি ছিল। তবে নির্বাচনের ডামাডোল কেটে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্য আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, বড় গ্রুপগুলো এতোদিন রক্ষণশীল উপায়ে ব্যবসা করেছে। তারা মুক্তভাবে ব্যবসা করতে চায় এবং নির্বাচন শেষ হলে সেভাবেই করবেন।

ডলার সংকট ও বৈশ্বিক মন্দায় চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে আমদানি সাড়ে ৯ শতাংশ ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন কমেছে ১১ শতাংশ। তবে বছরের শেষ তিন মাসে আমদানি ও রপ্তানি বাড়ায় নতুন বছরে এই ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার সম্প্রসারণের নানামুখী পদক্ষেপের সুফল নতুন বছরে মিলবে বলে মনে করে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো।

গত বছরে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি হয়নি বললেই চলে। ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বাড়ায় মুনাফা করতে পারেনি উৎপাদনশীল খাত। নতুন বছরে এই সংকট কাটবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির মহা-ব্যবস্থাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, নতুন বছরে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করি।

আমদানি কমার প্রভাব চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আয়েও পড়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৮ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর