এরপরই এই চিঠি নিয়ে শুরু হয় দেশজুড়ে আলোচনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে বসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের অফিস কক্ষে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যলোচনায় বিশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, 'শ্রম আইনের সংশোধন এবং বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই অগ্রগতি জানানো হবে। এছাড়া শ্রম ইস্যুতে বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।'
সচিব আরও জানান, 'কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।'
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো বেশ কিছু পালন হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক।
শ্রম আইনে সংস্কারসহ নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে শ্রম সচিব বলেন, শ্রম খাতের পরিবর্তনের বিষয়গুলে খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে অবগত করে চিঠি দিবে শ্রম মন্ত্রণালয়।





