এদিকে বাজেটে কর আদায়ে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়া বন্ধ করে দেশের উন্নয়নে সেই অর্থের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
প্রতিবছর জিডিপির আকারের হারে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ কর আদায় হলে তা দিয়েই স্থানীয় অনেক উন্নয়ন পরিচালনা সম্ভব বলে মনে করে সিপিডি। কর সমাজে সমতা সৃষ্টি করে, তাই সুফল বন্টনে মানুষের মধ্যে কর ভীতি দূর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় উঠে এসেছে, বাজেটের আকার ও প্রবৃদ্ধি বাড়লেও এডিপিতে রাজস্বের ২০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে, যা শঙ্কার কারণ।
এদিকে কর ছাড়াও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট দিতে ভোগান্তি এড়াতে ডিজিটালাইজেশন ও অটোমেশনের দাবি জানান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ।
আর যারা অর্থপাচার করে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দেয়া সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। তাই অটোমেশন ও আইনের কার্যকর প্রয়োগে দৃশ্যমান রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘যারা কর দিচ্ছেন না বা ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের কারণে যারা সৎ উপার্জনকারী তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন ‘
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘পার্লামেন্টে যে আইন পাস হলো, সেই পার্লামেন্টেই সদস্যরা এমনভাবে বললেন যে পরে চেঞ্জ করলাম। তাই কমিটমেন্ট সেখান থেকে আসতে হবে এবং দেখভাল করতে হবে।’
অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘কর নিয়মিত ভালো দিলে আপনি গণপরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাথমিক শিক্ষা ভালো পাবেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এজন্য আমাদেরকে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এনবিআরকে টার্গেট দেয়া হয় কিন্তু সক্ষমতা দেখা হয় না। ফলে প্রতিবারই এনবিআর ব্যর্থ হয়।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান কর আদায় ও নীতি বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতাও চান।
অনুষ্ঠানে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, রাজস্ব আহরণে রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। কর আদায়ে তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে।