গত সাত মাসের মধ্যে জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি, মোট ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এর আগে গত বছরের জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ডলার এসেছিল।
এদিকে প্রবাসী আয় বাড়লেও গত মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ৩১ জানুয়ারি শেষে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫.০৯ বিলিয়ন ডলার। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬ পদ্ধতি অনুযায়ী ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাব দেশের মোট রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে।
জানুয়ারি মাসে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর আগে গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলারের আয় এসেছিল। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
অপরদিকে দুই বছর ধরে চলা ডলার সংকট এখনও কাটেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে ব্যাংকগুলোর কাছে আমদানি দায় মেটানোর সুযোগ দিচ্ছে। তথ্য মতে, গত ৩১ জানুয়ারি মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৫.০৯ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম ৬ অনুযায়ী ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। বিপিএম ৬ অনুযায়ী তা ছিল ২ হাজার ২ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ কোটি ডলার।
আইএমএফের দেয়া ঋণের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ রিজার্ভ থাকার কথা, তা বর্তমানে নেই।