ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে থেকে গত আট বছরে মোট ঋণের অর্ধেকই নামে-বেনামে আত্মসাৎ করেছে এস আলম গ্রুপ। এ কারণে তারল্য সংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। ফলে গ্রাহকের টাকা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এই ব্যাংকটিকে।
তথ্য বলছে, জুন শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে ঋণের প্রায় অর্ধেক ৮৭ হাজার কোটি টাকা বা তার বেশি এস আলমের দখলে। আর এর বিপরীতে যে সম্পদ রাখা আছে তাও অতিমূল্যায়িত। ফলে জামানত রাখা সম্পদ বিক্রি করেও ঋণের সব টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতোমধ্যে প্রধান তিনটি বিষয়ে নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন পর্ষদ।
চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘তিনটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ ও ঋণ এবং তহবিলের নিরীক্ষা করা হবে।’ আরও জানান, ব্যাংকের পুনরুদ্ধারের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০২৯- ৩০ সালের মধ্যে ব্যাংকটি এগিয়ে যাওয়া শুরু করবে।
জামানত ছাড়াও এস আলমের সকলের সম্পদের হিসাব পেতে আইন মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকের আস্থা সংকট রয়েছে।’
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরও জানান, ‘নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার সময় ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা শর্টে ছিল। তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশা করি এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।’